Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

শিরোনাম
পারুলিয়া দরগা মসজিদ
স্থান

নরসিংদী জেলার পলাশ উপজেলার পারুলিয়ায় এই মসজিদটি অবস্থিত। মসজিদের মূল ফটকে রক্ষিত একটি পারস্য শিলালিপি থেকে জানা যায় ১১২৬ হিজরী/১৭১৪ সালে জনৈক নাসির নামক ব্যাক্তির কন্যা এবং দিওয়ান শরীফ নামক ব্যাক্তির স্ত্রী বিবি জয়নাব এই মসজিদটি নির্মাণ করেন। মসজিদটির অভ্যন্তরের দৈর্ঘ্য ১৮.২৯ মিটার, প্রস্থ ৫.১৮ মিটার এবং মসজিদের দেয়ালের ঘনত্ব ১.৫২ মিটার।

কিভাবে যাওয়া যায়

বাস বা সিএনজি যোগে পারুলিয়া দরগা মসজিদ যাওয়া যায়।

যোগাযোগ

নরসিংদী জেলার পলাশ উপজেলার পারুলিয়ায় এই মসজিদটি অবস্থিত। মসজিদের মূল ফটকে রক্ষিত একটি পারস্য শিলালিপি থেকে জানা যায় ১১২৬ হিজরী/১৭১৪ সালে জনৈক নাসির নামক ব্যাক্তির কন্যা এবং দিওয়ান শরীফ নামক ব্যাক্তির স্ত্রী বিবি জয়নাব এই মসজিদটি নির্মাণ করেন। মসজিদটির অভ্যন্তরের দৈর্ঘ্য ১৮.২৯ মিটার, প্রস্থ ৫.১৮ মিটার এবং মসজিদের দেয়ালের ঘনত্ব ১.৫২ মিটার। দুটি ধনুকআকৃতির সমান্তরাল পথের মাধ্যমে মসজিদের অভ্যন্তরকে তিনটি বর্গাকারভাগে ভাগ করা হয়েছে। প্রতিটি ভাগের উপরেই একটি করে গম্বুজ রয়েছে। প্রতিটি গম্বুজে নকশা ও অলংকার খোদাই করা আছে। ব্যাতিক্রম হিসেবে মসজিদের চারকোণায় অষ্টভুজ টাওয়ার রয়েছে যেগুলোর প্রতিটির উচ্চতা কার্নিশ পর্যন্ত। মুঘল স্থাপত্যশৈলীতে কোনার টাওয়ারগুলোর উচ্চতা সাধারণত কার্নিশকে ছাড়িয়ে যায়। মসজিদটির মোট পাঁচটি ধনুকআকৃতির ফটকের মধ্যে পূর্বদিকের দেয়ালে তিনটি, উত্তর ও দক্ষিন দিকের দেয়ালে একটি ফটক রয়েছে। মসজিদের মাঝখানের ফটকটি অন্যান্য ফটকের চেয়ে বড়। মসজিদের মূল ফটকের বাইরের দিকটি উপরিভাগ অর্ধগম্বুজ আকৃতির ছাদের নীচে অবস্থিত যেটি একটি আয়াতক্ষেত্রাকার কাঠামোর উপর নির্মাণ করা হয়েছে। অন্যান্য ফটকগুলো সামান্য নিচু আয়াতক্ষেত্রাকার কাঠামোর উপর নির্মাণ করা হয়েছে। মসজিদের পশ্চিমদিকের দেয়ালে পূর্বদিকের ফটকগুলো বরাবর তিনটি মিহরাব অবস্থিত। সবকটি মিহরাব এবং ধনুকআকৃতির ফটকগুলো অলংকারখচিত আয়াতক্ষেত্রাকার কাঠামোর উপর নির্মাণ করা হয়েছে। মিহরাব এবং ফটকের উভয়দিকেই ধনুকআকৃতির কোটর রয়েছে। ফটকগুলোর বাইরের অংশে বর্গাক্ষেত্রাকার এবং আয়াতক্ষেত্রাকার নকশা রয়েছে। ১৮৯৭ সালের ভুমিকম্পে মসজিদটি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হলেও পরবর্তীতে মসজিদটি মেরামত করা হয়। মসজিদের সামনের বর্গাক্ষেত্রাকার আঙ্গিনাটি প্রাচীর দিয়ে ঘেরা। তবে প্রাচীরের উচ্চতা খুব বেশি নয় তবে প্রাচীরের পূর্বদিকেএকটি চমৎকার ফটক রয়েছে।পারুলিয়া মসজিদের উত্তর ও দক্ষিণদিকে অবস্থিত দুটি পুকুর মসজিদ অঙ্গনকে ঠাণ্ডা রাখার পাশাপাশি মসজিদের সৌন্দর্য বহুগুনে বৃদ্ধি করেছে।

মসজিদের পশ্চিমে দিওয়ান শরীফ এবং বিবি জয়নাবের এক গম্বুজবিশিষ্ট দরগা অবস্থিত। প্রতিবছর এখানে বছরের একটি নির্দিষ্ট মাসে মেলা (স্থানীয়ভাবে ওরশ বলা হয়) অনুষ্ঠিত হয় যেখানে বিভিন্ন সংস্কৃতির মানুষজন অংশ নিয়ে থাকে। এসময় এখানে বিভিন্ন খাবার ও খেলনা পাওয়া যায়। মানুষ এখানে এসে প্রার্থনা করে এবং নিজেদের জীবনের সমৃদ্ধির জন্য কিছু চেয়ে থাকে।

বিস্তারিত

নরসিংদী জেলার পলাশ উপজেলার পারুলিয়ায় এই মসজিদটি অবস্থিত। মসজিদের মূল ফটকে রক্ষিত একটি পারস্য শিলালিপি থেকে জানা যায় ১১২৬ হিজরী/১৭১৪ সালে জনৈক নাসির নামক ব্যাক্তির কন্যা এবং দিওয়ান শরীফ নামক ব্যাক্তির স্ত্রী বিবি জয়নাব এই মসজিদটি নির্মাণ করেন। মসজিদটির অভ্যন্তরের দৈর্ঘ্য ১৮.২৯ মিটার, প্রস্থ ৫.১৮ মিটার এবং মসজিদের দেয়ালের ঘনত্ব ১.৫২ মিটার। দুটি ধনুকআকৃতির সমান্তরাল পথের মাধ্যমে মসজিদের অভ্যন্তরকে তিনটি বর্গাকারভাগে ভাগ করা হয়েছে। প্রতিটি ভাগের উপরেই একটি করে গম্বুজ রয়েছে। প্রতিটি গম্বুজে নকশা ও অলংকার খোদাই করা আছে। ব্যাতিক্রম হিসেবে মসজিদের চারকোণায় অষ্টভুজ টাওয়ার রয়েছে যেগুলোর প্রতিটির উচ্চতা কার্নিশ পর্যন্ত। মুঘল স্থাপত্যশৈলীতে কোনার টাওয়ারগুলোর উচ্চতা সাধারণত কার্নিশকে ছাড়িয়ে যায়। মসজিদটির মোট পাঁচটি ধনুকআকৃতির ফটকের মধ্যে পূর্বদিকের দেয়ালে তিনটি, উত্তর ও দক্ষিন দিকের দেয়ালে একটি ফটক রয়েছে। মসজিদের মাঝখানের ফটকটি অন্যান্য ফটকের চেয়ে বড়। মসজিদের মূল ফটকের বাইরের দিকটি উপরিভাগ অর্ধগম্বুজ আকৃতির ছাদের নীচে অবস্থিত যেটি একটি আয়াতক্ষেত্রাকার কাঠামোর উপর নির্মাণ করা হয়েছে। অন্যান্য ফটকগুলো সামান্য নিচু আয়াতক্ষেত্রাকার কাঠামোর উপর নির্মাণ করা হয়েছে। মসজিদের পশ্চিমদিকের দেয়ালে পূর্বদিকের ফটকগুলো বরাবর তিনটি মিহরাব অবস্থিত। সবকটি মিহরাব এবং ধনুকআকৃতির ফটকগুলো অলংকারখচিত আয়াতক্ষেত্রাকার কাঠামোর উপর নির্মাণ করা হয়েছে। মিহরাব এবং ফটকের উভয়দিকেই ধনুকআকৃতির কোটর রয়েছে। ফটকগুলোর বাইরের অংশে বর্গাক্ষেত্রাকার এবং আয়াতক্ষেত্রাকার নকশা রয়েছে। ১৮৯৭ সালের ভুমিকম্পে মসজিদটি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হলেও পরবর্তীতে মসজিদটি মেরামত করা হয়। মসজিদের সামনের বর্গাক্ষেত্রাকার আঙ্গিনাটি প্রাচীর দিয়ে ঘেরা। তবে প্রাচীরের উচ্চতা খুব বেশি নয় তবে প্রাচীরের পূর্বদিকেএকটি চমৎকার ফটক রয়েছে।পারুলিয়া মসজিদের উত্তর ও দক্ষিণদিকে অবস্থিত দুটি পুকুর মসজিদ অঙ্গনকে ঠাণ্ডা রাখার পাশাপাশি মসজিদের সৌন্দর্য বহুগুনে বৃদ্ধি করেছে।

মসজিদের পশ্চিমে দিওয়ান শরীফ এবং বিবি জয়নাবের এক গম্বুজবিশিষ্ট দরগা অবস্থিত। প্রতিবছর এখানে বছরের একটি নির্দিষ্ট মাসে মেলা (স্থানীয়ভাবে ওরশ বলা হয়) অনুষ্ঠিত হয় যেখানে বিভিন্ন সংস্কৃতির মানুষজন অংশ নিয়ে থাকে। এসময় এখানে বিভিন্ন খাবার ও খেলনা পাওয়া যায়। মানুষ এখানে এসে প্রার্থনা করে এবং নিজেদের জীবনের সমৃদ্ধির জন্য কিছু চেয়ে থাকে।