শীতলক্ষ্যা নদীর পূর্বতীর ঘেঁষে গড়ে উঠেছে নরসিংদী জেলার ৬টি উপজেলার মধ্যে আয়তনে সবচেয়ে ছোট উপজেলা পলাশ। এটি ১৯৭৭ খ্রিস্টাব্দে নরসিংদী মহকুমার একটি থানা সদর হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হলেও পরবর্তীতে ১৯৮৪ খ্রিষ্টাব্দে উপজেলায় উন্নীত হয়। শিবপুর থানার অন্তর্গত চক্রধা ইউনিয়নের আশ্রাবপুর গ্রামে প্রাপ্ত তাম্রশাসনের নিদর্শন থেকে প্রত্নতত্ত্ববিদ ও ইতিহাস বিশেষজ্ঞদের মতামতের ভিত্তিতে জানা যায়, সমতটের বৌদ্ধ রাজারা এ অঞ্চলে একাধিক (মতান্তরে তিনটি) বৌদ্ধ বিহার (উপাসনালয়) স্থাপনের জন্য ভূমি দান করেছিলেন। তাম্রলিপির উদ্ধৃতিমূলক তথ্যে 'পলশত' নামক স্থানে বৌদ্ধবিহার নির্মাণের জন্য ভূমি দানের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তাই ধারণা করা হয় যে, উল্লিখিত 'পলশত' থেকে পলাশের নামকরণ করা হয়েছে (বাংলা একাডেমি বাংলাদেশের লোকজ সংস্কৃতি গ্রন্থমালা, নরসিংদী, জেলা পরিচিতি, পৃ-২৫)। সপ্তম শতকের মধ্যবর্তী সময়ে উৎকীর্ণ আশরাফপুরে প্রাপ্ত দেবখড়গের তাম্রশাসনে পলশত্ নামে একটি স্থানের উল্লেখ রয়েছে। সেখান থেকে পলাশ নামের উৎপত্তি (ঘুড়ি, পহেলা বৈশাখ, চৌদ্দশত তেইশ বঙ্গাব্দ সংখ্যা, পৃ-১৮)। জনশ্রুতি রয়েছে যে, এখানে অতীতে প্রচুর পলাশ ফুল ফুটতো। পলাশ ফুল থেকে পলাশ নাম এসেছে (পপুলেশন এন্ড হাউজিং সেন্সাস ২০১১, পৃ-২৪)। অনেকে মনে করেন পলাশ নামক ধান থেকে এলাকার নাম হয় পলাশ। পলাশ অর্থ ঝরে পড়ে এমন ধান (জেলা, উপজেলা ও নদ-নদীর নামকরণের ইতিহাস, পৃ-৪৮)।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস