এরই ধারাবাহিকতায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় চারটি ধাপের শেষ ধাপে পলাশ উপজেলায় ৯৫টি ও পূর্বে দেওয়াসহ মোট ১৯৩টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে পাকা ঘর এবং দুই শতাংশ জমির দলিল বুঝিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে’আসছে ২২ মার্চ (বুধবার) সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সে পলাশ উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। আর এতে করে অসহায় ভূমিহীন ও গৃহহীনরা পেতে যাচ্ছেন তাদের স্বপ্নের ঠিকনা।
পলাশ উপজেলার জিনারদী ইউনিয়নের মাঝেরচর ও চরসিন্দুর ইউনিয়নের কাউয়াদী গ্রামের আশ্রয়ণ প্রকল্পে গিয়ে দেখা যায়, সময়ের সাথে এখন পাল্টে যাচ্ছে ছিন্নমূল মানুষের যাপিত জীবনের।
বসবাসের জন্য সরকারের দেওয়া এই সুবিধাটি পেয়ে খুশি আশ্রয়হীন মানুষগুলো। আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দারা গঠন করেছে সমবায় সমিতি, নিয়মিত উপজেলা থেকে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। অনেকের একাডেমিক শিক্ষা না থাকলেও নানা প্রশিক্ষণে তারা হয়ে উঠছে স্বশিক্ষিত। উপজেলা প্রশাসনের নিয়মিত তদারকিতে ক্রমেই সময়ের সাথে সাথে উন্নয়নের নানা দিকে এগিয়ে যাচ্ছে আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দারা। এই উপজেলায় আর মাত্র ৯৫টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মধ্যে জমির দলিল ও পাকা ঘরের চাবি হস্তান্তর করলেই ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত হবে। সেই ৯৫ টি পরিবারের জন্যও ইতিমধ্যে রঙ্গিন টিন আর পাকা দেয়ালের আধাপাকা বাড়িও প্রায় পুরোপুরি প্রস্তুত। এখন শুধু অপেক্ষা হস্তন্তরের।
পলাশ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি সৈয়দ জাবেদ হোসেন বলেন, হতদরিদ্র ভূমিহীন ও গৃহহীন অসহায় মানুষ গুলোকে বঙ্গকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া উপহারের ছোঁয়ায় পলাশ উপজেলা ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত হতে যাচ্ছে। আর ওইসব আশ্রহীন মানুষ গুলো পেয়েছে তাদের স্বপ্নের ঠিকনা। যা পৃথিবীর বুকে এক বিড়ল দৃষ্টান্ত স্থাপন হতে যাচ্ছে।
পলাশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রবিউল আলম বলেন, নতুন কোনো চাহিদা না থাকায় আমরা টাস্কফোর্স কমিটি এবং যৌথ কমিটির সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক পলাশ উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত ঘোষণা করার প্রস্তাব পাঠিয়েছি। পরবর্তীতে প্রাকৃতিক কোনো কারণ বা অন্য যে-কোনো উপায়ে কেউ নতুনভাবে ভূমিহীন ও গৃহহীন হলে কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, তৃতীয় দফায় সব মিলেয়ে ৯৮টি ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য ভূমি ও গৃহ প্রদান করা হয়েছিল।
নরসিংদী- ২ এর সাংসদ সদস্য ডা. আনোয়ারুল আশ্ররাফ খান দীলীপ জানান, মানুষের মৌলিক চাহিদার মধ্যে খাদ্য, শিক্ষা ও বাসস্থান অন্যতম। যা বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার হাত ধরে পূর্ণতা পেয়েছে। ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতির সুফল পেতে শুরু করেছে উপজেলার ভূমি ও গৃহহীন মানুষ গুলো। চতুর্থ দফায় ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জমি ক্রয় করে আরও ৯৫টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মধ্যে হস্তান্তর করতে যাচ্ছেন। যা আসছে ২২ মার্চ (বৃধবার) সকালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দুই শতাংশ করে জমির দলিল ও পাকা ঘরের চাবি হস্তান্তরের মাধ্যমে এই উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত উপজেলা ঘোষণা করবেন।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস